চাটমোহর উপজেলা আয়তন: ৩০৫.৬৩ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°০৬´ থেকে ২৪°২১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°১২´ থেকে ৮৯°২৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।[২] এই উপজেলার উত্তরে- সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াস উপজেলা, দক্ষিণে- পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলা, পূর্বে পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলা এবং পশ্চিমে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলা অবস্থিত।
উপজেলার নামকরণঃ
কথিত আছে যে, খ্রীষ্টিয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে এখানে সোনার মোহর ক্রয়-বিক্রয় হতো। তখন ডাকাতদের উপদ্রব বেশি থাকায় বিক্রেতারা ডাকাতদের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চটের থলিতে সোনার মহর নিয়ে এসে বিক্রি করতো। সোনার মোহর চটের থলিতে ভরে নিয়ে এসে বেচা-কেনা হতো বলে এখানকার নামকরণ করা হয়েছে চাটমোহর।
উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থানঃ
চাটমোহর উপজেলা পাবনা জেলার অন্যতম বৃহৎ উপজেলা। এটি বড়াল নদীর তীরে অবস্থিত। এর উত্তরে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা, দক্ষিণে পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলা, পূর্বে পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলা এবং পশ্চিমে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলা অবস্থিত।
বর্তমান উপজেলার ইতিহাসঃ
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা একটি অতি প্রাচীণ ও প্রসিদ্ধ জনপদ। এককালে এ উপজেলার সিংহভাগ অংশ তথা বর্তমান হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, ছাইকোলা ও বিলচলন ইউনিয়ন চলনবিলের অমত্মর্ভূক্ত ছিল। ধীরে ধীরে এখানে জনবসতি গড়ে ওঠে বর্তমানে একটি অমিত সম্ভাবনার উপজেলায় পরিণত হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামলে এই এলাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এখানে কেবলমাত্র একটি পুলিশ ষ্টেশন ছিল। পরবর্তীতে উহা ‘থানা’ নামে পূণনামকরণ করা হয়। ‘থানা’ যখন এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় তখন প্রথমে এটি ‘আপগ্রেড থানা’ এবং পরবর্তীতে ‘উপজেলায়’ রূপামত্মর করা হয়। আয়তন এবং জনসংখ্যা উভয় দিক দিয়ে চাটমোহর পাবনা জেলার তৃতীয় বৃহত্তম উপজেলা। ১৯৪৯ সালে এখানে থানা প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৬০ সালে থানা উন্নয়ন সার্কেলে রূপামত্মর করা হয় এবং ১৯৮২ সালে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮২ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে তৎকালীন আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক কর্নেল এ.এম. হাম্মাদ কর্তৃক চাটমোহর থানা কে ‘আপগ্রেড থানা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় যা পরবর্তীতে ‘উপজেলা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
আদমশুমারী ও গৃহগণনা-২০১১ ইং অনুযায়ী চাটমোহর উপজেলার জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য:
ক্র:নং |
ইউইনিয়নের নাম |
ইউনিয়নের আয়তন(বর্গ কি:মি:) |
ইউনিয়ন জিও কোড |
মোট খানা |
জনসংখ্যা |
শিক্ষার হার পুরূষ মহিলা মোট গড় |
গ্রাম/ মহল্লা (সংখ্যা) |
||||
পুরুষ |
মহিলা |
মোট |
|||||||||
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
০১ |
ছাইকোলা |
২৫.৯৯ |
১১ |
৭২৫৯ | ১৪৫৭৬ | ১৪৬৩৩ | ২৯২০৯ | ৪৪.৭ | ৪০.৩ | ৪২.৫ | ২৪ |
০২ |
বিলচলন | ১৪.৬৫ |
১৩ |
৪৪১৩ | ৮৫৮২১ | ৮৬৬১ | ১৭১৮২ | ৫২.৮ | ৫১.৩ | ৫২.০০ | ১৩ |
০৩ |
ডিবিগ্রাম |
৪০.০৯ |
২৫ |
৬৭০৩ | ১৪৯৯৬ | ১৪৮১৭ | ২৯৮১৩ | ৪৪.৯ | ৪৩.৭ | ৪৪.৩ | ১৬ |
০৪ |
ফৈলজান |
৩৫.৩৫ |
৩৪ |
৭৭০৩ | ১৫৯৫৪ | ১৬০৫১ | ৩২০০৫ | ৩৯.৮ | ৩৬.৩ | ৩৮.৮ | ২৪ |
০৫ |
গুনাইগাছা |
১২.৬৩ |
৪৩ |
৩০৩২ | ৬০১৭ | ৬২০৮ | ১২২২৫ | ৫৩.১ | ৫১.৮ | ৫২.২২ | ১৬ |
০৬ |
হান্ডিয়াল |
৩৭.০২ |
৫৯ |
৬৯০২ | ১৪৩২৮ | ১৩৯৬৩ | ২৮২৯১ | ৪৩.৫ | ৩৯.৪ | ৪১.৫ | ২৪ |
০৭ |
হরিপুর |
৩৪.৬৪ |
৬০ |
৭১৮৫ | ১৪৩৩১ | ১৪৮১৮ | ২৯১৪৯ | ৪৮.২ | ৪৬.০০ | ৪৭.১ | ১৯ |
০৮ |
মথুরাপুর |
১৬.০০ |
৭০ |
৪২৪০ | ৭৯৩৬ | ৮৪৩৩ | ১৬৩৬৯ | ৫৪.১ | ৫২.০০ | ৫৩.০০ | ১৫ |
০৯ |
মূলগ্রাম |
৩১.৮৪ |
৭৭ |
৭৬২৫ | ১৬০৭৩ | ১৬৪৬৩ | ৩২৫৩৬ | ৪৬.৬ | ৪৩.৯ | ৪৫.২ | ৩২ |
১০ | নিমাইচড়া | ২৬.৫৬ | ৮৬ | ৬৪৬৪ | ১৩৭৭১ | ১৩৬৬৬ | ২৭৪৩৭ | ৩৫.১ | ৩০.২ |
৩২.৭ |
৩০ |
১১ | পার্শ্বডাঙ্গা | ৩২.২১ | ৯৪ | ৫৩৫৭ | ১১০৭৯ | ১১৩৮৩ | ২২৪৬২ | ৪৭.৭ | ৪৪.৯ |
৪৬.৩ |
২৩ |
১২ | পৌরসভা | ৩.২৪ | ২৫ | ৩৩৩৭ | ৭২৩৮ | ৭২০৫ | ১৪৪৪৩ | ৭৮.০৯ | ৭৩.০৭ | ৭৬.৩ |
১৩ |
সর্বমোট | ৩১০.১০ | - | ৭০২৬০ | ১৪৪৮২০ | ১৪৬৩০১ | ২৯১১২১ | ৪৭.০১ | ৪৪.০১ |
৪৫.৬ |
২৩৬ |
অবস্থান: উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন চাটমোহর।
যেভাবে যাওয়া যায়: উপজেলা হতে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে অবস্থিত। জেলা সদর বাস অথবা সিএনজিযোগে দূরত্ব ৩৫ কি: মি:।
অবস্থান: সমাজবাজার, চাটমোহর, পাবনা।
যেভাবে যাওয়া যায়: উপজেলা সদর থেকে সড়ক পথে ট্যক্সিযোগে। বর্ষাকালে নদীপথে। দূরুত্ব ১০কি:মি:।
অবস্থান: হান্ডিয়াল, চাটমোহর, পাবনা।
যেভাবে যাওয়া যায়: সড়কপথে বাস ও ট্যাক্সি যোগে। উপজেলা সদর হতে প্রায় ১৮কি:মি: দক্ষিণে। বর্ষাকালে নদীপথে।
অবস্থান: মথুরাপুর, চাটমোহর, পাবনা।
যেভাবে যাওয়া যায়: উপজেলা সদর থেকে ০৬কি:মি: দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। চাটমোহর-পাবনা প্রধান সড়কের সন্নিকটে।
অবস্থান: চাটমোহর উপজেলার দক্ষিণ সীমান্ত।
যেভাবে যাওয়া যায়: সড়কপথে বাস অথবা ট্যাক্সি যোগে। বর্ষাকালে নদী পথে। উপজেলা সদর হতে ১৫কি:মি: দক্ষিণে।
উপজেলা সদর হতে ৫ কিলোমিটার উত্তরে খলিসাগাড়ি বিলের
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস